ব্ল্যাক রুবি আঙ্গুরের চারা

ব্ল্যাক রুবি আঙ্গুর (Black Ruby Grape) – পরিচিতি

উৎপত্তি: মূলত থাইল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার গরম আবহাওয়ার জন্য জনপ্রিয় একটি জাত।

ফলের রং: গাঢ় কালচে-বেগুনি (প্রায় কালো)।

ফলের স্বাদ: মিষ্টি, রসালো ও হালকা সুগন্ধযুক্ত।

ফলের আকার: মাঝারি থেকে বড়, ডিম্বাকৃতি।

বীজ: সাধারণত ১–২টি ছোট বীজ থাকে।

ফল ধরতে সময়: সাধারণত চারা লাগানোর ১২–১৮ মাসের মধ্যে ফল ধরতে শুরু করে (যত্নের উপর নির্ভরশীল)।

ফলন মৌসুম: বছরে ২ বার পর্যন্ত ফল আসতে পারে (গরম অঞ্চলে)।

—

চারা লাগানোর সময় ও জায়গা

সময়: বর্ষার শুরুতে (জুন–আগস্ট) বা শীতের শেষে (ফেব্রুয়ারি–মার্চ)।

মাটি: বেলে দোআঁশ মাটি বা দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো।

জায়গা: পর্যাপ্ত রোদ পায় এমন উঁচু জায়গায় লাগাতে হবে।

দূরত্ব: গাছ থেকে গাছের দূরত্ব অন্তত ৮–১০ ফুট।

—

চারা লাগানোর নিয়ম

1. গর্ত তৈরি: ২ ফুট গভীর ও ২ ফুট চওড়া গর্ত।

2. মাটির প্রস্তুতি:

গর্তের মাটি ভালোভাবে ঝুরঝুরে করে ১০–১৫ কেজি পচা গোবর, ২০০–২৫০ গ্রাম টিএসপি, ১৫০ গ্রাম এমওপি ও ২০০ গ্রাম জিপসাম মিশিয়ে দিতে হবে।

3. রোপণ: চারা মাটির সমান উচ্চতায় বসাতে হবে, যাতে কলম বা গ্রাফটিং অংশ মাটির নিচে না যায়।

4. সেচ: রোপণের পরপরই পানি দিতে হবে এবং মাটি আর্দ্র রাখতে হবে।

—

যত্ন

সেচ: গ্রীষ্মে প্রতি ৫–৭ দিনে একবার, বর্ষায় কম সেচ।

ছাঁটাই: নিয়মিত ডাল ছাঁটাই করলে ফলন বেশি হয়।

সার প্রয়োগ:

প্রথম বছর প্রতি ৩ মাস অন্তর জৈব সার (গোবর/ভার্মিকম্পোস্ট)

দ্বিতীয় বছর থেকে ফুল ফোটার আগে ও ফল ধরার পরে রাসায়নিক সার প্রয়োগ।

রোদ: প্রতিদিন অন্তত ৬–৮ ঘণ্টা সরাসরি রোদ লাগবে।

রোগ প্রতিরোধ: মিলডিউ, অ্যানথ্রাকনোজ, পাউডারি ফাঙ্গাস রোধে প্রতি ১৫–২০ দিনে জৈব/রাসায়নিক ছত্রাকনাশক স্প্রে করা ভালো।

—

ফলন

সাধারণত একেকটি পূর্ণবয়স্ক গাছ থেকে বছরে ২৫–৩০ কেজি পর্যন্ত আঙ্গুর পাওয়া যায়।

ফল মিষ্টি ও বাজারে চাহিদা বেশি বলে দামও ভালো পাওয়া যায়।

—

বিশেষ বৈশিষ্ট্য

উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালো জন্মে।

চারা লাগানোর ১–১.৫ বছরের মধ্যেই ফল আসা শুরু হয়।

বছরে একাধিকবার ফলন সম্ভব।

স্বাদ ও রঙের কারণে বাজারমূল্য বেশি।